শেরপুর জেলার নকলা উপজেলায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অর্ধশতাধিক দরিদ্র, অসহায় শীতার্ত প্রবীণ ও প্রতিবন্ধীদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে ১৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় ছোট পরিসরে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদুর রহমান নিজে দরিদ্র, অসহায় শীতার্ত প্রবীণ ও প্রতিবন্ধীদের হাতে একটি করে কম্বল তুলেদেন।
এসময় উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাস, নকলা প্রবীণ ও প্রতিবন্ধী হিতৈষী সংস্থার সভাপতি আসাদুজ্জামান সৌরভ, নকলা ইয়্যুথ রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি মো. নূর হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক শিমানুর রহমান সুখনসহ স্থানীয় বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ও স্বেচ্ছাসেবক, বিডি ক্লিন নকলার সক্রিয় সদস্য রাজু আহম্মেদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মো. মনিরুজ্জামান মিলন ও মো. আশরাফুল আলম শাহিন, উদ্যোক্তা মো. আতিকুর রহমান ও বজলু মিয়াসহ বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ও বিভিন্ন বয়সের অর্ধশতাধিক দরিদ্র, অসহায় শীতার্ত প্রবীণ ও প্রতিবন্ধী নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদুর রহমান জানান, নকলা উপজেলার কোন মানুষ যেন শীতার্ত না থাকেন এর জন্য মান্যবর জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব-এর নির্দেশে ও উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় নকলা উপজেলার ২৫০ জন দরিদ্র, অসহায় প্রবীণ ও প্রতিবন্ধী শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ কর্মসূচি চলছে। এর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার বিকেলে প্রায় ৬০ জন শীতার্তের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।
অফিস রুটিনের দিনের সকল কার্যক্রম শেষে কনকনে শীতকে উপেক্ষা করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে দরিদ্র অসহায় শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করে নকলা ইউএনও জাহিদুর রহমান অনুকরণীয় ব্যক্তিত্বে পরিণত হচ্ছেন বলে অনেকে মনে করছেন।
উল্লেখ্য, এরই মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অর্থায়নে পৌরসভাসহ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ৬ হাজার ২৯৬ জন শীতার্তের জন্য কম্বল বরাদ্দ পাওয়ার পরে ইউনিয়ন পর্যায়ের শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু পৌরসভা নির্বাচনের কারনে পৌর এলাকার জন্য বরাদ্দকৃত কম্বল গুলো এখনও বিতরণ করা শেষ হয়নি বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।