শেরপুর জেলার নকলা উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় তানভীর আহম্মেদ (৯) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে, এ ঘটনায় শিশুটির বাবা আব্দুল হালিম গুরুতর আহত হয়ে নকলা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধিন আছেন। তারা শেরপুর সদর উপজেলার আন্ধাড়িয়া কামারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। ১৭ জানুয়ারি রবিবার সকালে ঢাকা-শেরপুর মহাসড়কের নকলা পৌরসভার জালালপুর ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছেলে ও তার বাবা রবিবার সকালে রাজধানী ঢাকায় অবস্থানরত শিশুটির মায়ের সাথে দেখা করতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ভ্যানে করে নকলা বাসস্ট্যান্ডে আসার পথে জালালপুর এলাকায় পৌঁছালে এ ঘটনাটি ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তাদের বহনকারী ভ্যানের সামনে একটি ট্রলি রাস্তা নির্মান কাজের ব্যবহারের বিটুমিন বহনকারী একটি ট্রাককে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলো। এমন সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা শেরপুর গামী একটি যাত্রীবাহী বাস আসলে বসটিকে সাইট দিতে গিয়ে ট্রলিটি উল্টে গিয়ে রাস্তা সম্প্রসারনের জন্য করা গর্তে পড়ে যায়। ফলে বিটুমিন বহনকারী ট্রাকটি ঠাই দাঁড়িয়ে পড়ে। এতে চলন্ত ভ্যানটি তাৎক্ষণিক নিয়ন্ত্রন করতে নাপেরে বিটুমিন বহনকারী ট্রাকে ধাক্কা খায়। এতে শিশুটি ছিটকে পড়ে গিয়ে ওই ট্রাকে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলেই শিশু তানভীর মারা যায় এবং নিহতের বাবা আব্দুল হালিম গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে নকলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তানভীরকে মৃত ঘোষনা করেন এবং আব্দুল হালিমকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
খবর পেয়ে নকলা থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জরুরি কাজে শেরপুর থাকায় ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা (মামলার আইও) চন্দন কুমার পাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান যে, এ বিষয়ে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না করায় এবং বিনা ময়না তদন্তে লাশ দাফনের অনুমতি চেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে একটি আবেদন করেছেন। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেলে মরদেহ তাদের কাছে হস্থান্তর করা হবে। ট্রলি ও ভ্যান গাড়িটি থানার হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলে তিনি জানান।