প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি শেরপুরের সীমান্তবর্তী উপজেলা ঝিনাইগাতীর গজনী অবকাশ কেন্দ্রটি নতুন বছর ২০২১ সালের শুরুতেই লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠেছে। অনেক দিন পর ভ্রমণপ্রেমীদের এমন উচেপড়া ভিড়ে খুশি সেখানকার ব্যবসায়ীরা। দেখা গেছে, গজনী অবকাশের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণপিপাসুরা ঘুরে ঘুরে কেউ সেলফি তুলছেন, কেউবা প্রিয়জনের ছবি মুঠোফোনে ক্যামেরাবন্দী করছেন। শিশুদের পদচারণায় পার্ক ছিল সকাল থেকেই মুখর। বিশেষ করে শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ভ্রমণপিপাসুরা ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
এখানে সমতল ভূমি থেকে অবকাশ ভবনে ওঠানামা করার জন্য পাহাড় কেটে তৈরি করা হয়েছে আকর্ষণীয় আঁকাবাঁকা ‘পদ্মসিঁড়ি’। গারো পাহাড়ের মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে আকাশচুম্বী সাইট ভিউ টাওয়ার। এখানে উঠলে চোখে পড়বে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সুউচ্চ পর্বতরাশি। সবুজে সবুজে ভরা পাহাড়। এ কেন্দ্রের চারপাশের উঁচু-নিচু পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে উত্তর দিকে তাকালেই চোখে পড়ে ভারতের তুরা পাহাড়। চোখে পড়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ক্যাম্পে সদস্যদের পদচারণার পাশাপাশি দুই দেশের অপরূপ নৈসর্গিক দৃশ্য। সৌন্দর্যমণ্ডিত এ গারো পাহাড়ে একবার এলে মন আর ফিরে যেতে চায় না। এ অবকাশ কেন্দ্রের চারপাশে রয়েছে আদিবাসী পল্লি। এ আদিবাসী পল্লির বেশির ভাগ ঘরগুলো মাটির তৈরি।
আপনি যেভাবে আসবেন এ পর্যটন কেন্দ্রেঃ
ঢাকা মহাখালী বাসটার্মিনাল থেকে শেরপুর জেলা সদরের দূরত্ব ১৮৮ কিলোমিটার। শেরপুর জেলা সদর থেকে গজনী অবকাশ বিনোদন কেন্দ্রের দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার। শেরপুর সদর থেকে গজনী-অবকাশ কেন্দ্রে পৌঁছাতে সিএনজি ভাড়া ৬০ টাকা। ঢাকা মহাখালী থেকে বাসে শেরপুরে আসতে সময় লাগে ৪-৫ ঘণ্টা।