অনলাইন ডেস্ক:
চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে করোনা ভাইরাস (কোভিট-১৯) সংক্রমণের খবর প্রচার করায় এক সাংবাদিককে ৪ বছরের জেল দিয়েছে চীনের সাংহাইয়ের একটি আদালত। কোভিট-১৯ সংক্রমণ শুরুতে সাংবাদিক ঝ্যাং ঝান (৩৭) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। সাজাপ্রাপ্ত সাংবাদিক একজন সাবেক আইনজীবী। ওই প্রতিবেদন প্রকাশের জের ধরে চলতি বছরের মে মাসে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। ২৮ ডিসেম্বর সোমবার সকালে ওই প্রতিবেদনকারী সাংবাদিক ঝ্যাং ঝান এর বিচার কাজ শুরু করা হয়। এএফপির খবর।
বিচার শুরুর সময় আদালতের বাইরে তাঁর ১২ জনের মতো সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। তবে বিচারকাজ দেখতে আসা সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের আদালতে ঢুকতে দেয়নি সেদেশেরর পুলিশ। এর আগে সরকারি কৌসুলিরা ঝ্যাং ঝানকে ৪ বছর থেকে পাঁচ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার সুপারিশ করেছেন। কিন্তু সাংবাদিক ঝ্যাং ঝান নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। কোভিড-১৯ এর উৎস নিয়ে তদন্তে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও)’র প্রতিনিধিদল উহানে যাওয়ার বেশ আগেই এই বিচার শুরু হয়।
তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে বলা হয়, ঝ্যাং ঝান লেখনী, ভিডিও ও অন্যান্য মাধ্যম ব্যবহার করে উইচ্যাট, টুইটার ও ইউটিউবে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছেন। এ ছাড়া তিনি নাকি বিদেশি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে উহানের করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়িছেন, এমন অভিযোগও আনা হয়েছে। তাছাড়া ঝগড়া বাধানো ও বিভিন্ন বিষয়ে উসকানি দেওয়ার অভিযোগের তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। চীনে সরকার বিরোধীদের প্রায়ই এই অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। গত ১৯ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে ঝ্যাং-কে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গ্রেফতারের প্রায় ৩মাস পর গত ৯ সেপ্টেম্বর তাঁর আইনজীবীকে তাঁর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দেওয়া হয়। এরই মধ্যে তিনি নিজের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আমরণ অনশনে যান। পরে জীবনাশঙ্কা দেখা দিলে কর্তৃপক্ষ নাকে পাইপ ঢুকিয়ে ঝ্যাংকে জোর করে খাবার গ্রহণ করান।
ঝ্যাং ঝান চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে উহানে গিয়ে বেশকিছু প্রতিবেদন করেন। তাঁর তৈরী প্রতিবেদন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়। এরপরই চীন সরকারের রোষানলে পড়েন সাংবাদিক ঝ্যাং ঝান। মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা চীনা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা নেটওয়ার্ক অব চাইনিজ হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারস (সিএইচআরডি) জানায়, আটক ঝ্যাং ঝান একজন নিরপেক্ষ সাংবাদিক। সংস্থাটি বিভিন্ন মাধ্যমে জানান যে, গত ১৪ মে ঝ্যাং ঝা%