নিজস্ব প্রতিনিধি:
শেরপুর জেলার ৪টি উপজেলার খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের দুটি ধর্মপল্লী ও ৩০টি উপ-ধর্মপল্লীর আওতায় ৭৪টি গীর্জায় সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতায় খ্রিষ্টানদের সর্ববৃহৎ অনুষ্ঠান বড়দিন যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে।
শেরপুর সদর উপজেলাসহ নালিতাবাড়ী, শ্রীবরদী ও ঝিনাইগাতী উপজেলার ৭৪টি গীর্জায় প্রার্থনার মধ্যদিয়ে বড়দিনের কর্মসূচী শুরু করা হয়। পরে এ দিনটি উপলক্ষে কেক কাটা, বাড়ি বাড়ি কীত্তন, প্রীতি ভোজ, খ্রিষ্ট জাগ, বিভিন্ন খেলার প্রীতি ম্যাচ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সরজমিনে বিভিন্ন গীর্জায় ঘুরে দেখা গেছে, বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের মাঝে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। গীর্জাগুলোকে দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জাসহ মনোরম সাজে সাজানো হয়েছে। ভারত-বাংলার সীমান্তবর্তী জনপদ ও গারো পাহাড় রঙ্গিন হয়ে উঠেছে। বড়দিন উপলক্ষে পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। স্ব স্ব থানার পুলিশের টহল টিম সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছে বলে জানা গেছে।
শ্রীবরদী উপজেলা ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান প্রাঞ্জল এম সাংমা বলেন, এবার উপজেলার হারিয়াকোনা, বাবেলাকোনা, খ্রিষ্টানপাড়া, বালিজুরি ও খারামোরা গ্রামের ৭টি ও দিঘলাকোনা, গজনী, রাঙটিয়া, গজারিকুড়া ও মরিয়মনগরসহ প্রায় ৩০টি গ্রামের ৭৪টি গীর্জায় বড়দিন উদযাপিত হচ্ছে। ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন হলেও মূলত ৯ দিন আগে থেকেই এর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। তবে ২৪ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে প্রার্থনার মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে বড়দিনের মূল আনুষ্ঠানিকতা এবং কেক কাটা হয় রাত প্রায় সাড়ে ১২টার দিকে।
এবারের বড়দিনে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রার্থনার বিষয় ছিলো- পৃথিবী যেন করোনা ভাইরাস (কোভিট-১৯) মুক্ত হয় এবং মানুষের নানা সমস্যা যেন অচিরেই দূর হয়। তাছাড়া বর্তমান ও আগামী প্রজন্মরা যেন সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে এগিয়ে যেতে পারে এমনটাই সকলের প্রত্যাশা।